দ্বিতীয় দফায় গড়ানো মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। কার হাতে যাচ্ছে দ্বীপরাষ্ট্রটির নেতৃত্ব, তা জানতে ফলের অপেক্ষায় দেশটির জনগণ। একই সঙ্গে ভারত ও চীনপন্থি দুই নেতার মধ্যে লড়াই হওয়ায় এ দুই দেশও গুরুত্ব দিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন। এদিকে, ৮৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা। খবর আল-জাজিরার
শনিবার সকাল ৮টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট শুরুর আগেই ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারের লম্বা লাইন দেখা যায়। নির্বাচন কমিশনের এক মুখপাত্র বলেন, প্রাথমিক পরিসংখ্যান বলছে, ২ লাখ ৪২ হাজার ভোটার তাদের ভোট দিয়েছেন। তবে ২০ শতাংশ ব্যালটের তথ্য এখনও আসেনি। দ্বিতীয় দফার এই নির্বাচনে ২ লাখ ৮২ হাজার ভোটারের ভোট দেওয়ার কথা। দেশটিতে জনসংখ্যা ৫ লাখ।এদিকে, একটি ভোটকেন্দ্রে ব্যালট ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়েছে। এতে একটি কেন্দ্রের ব্যালট বাক্স ভেঙে গেছে বলে ছবি প্রকাশ করেছে দেশটির গণমাধ্যম। কক্ষের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে ব্যালট। এ ঘটনায় একজনকে আটক করেছে দেশটির প্রশাসন।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম দফার নির্বাচনে কোনো প্রার্থী একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা, অর্থাৎ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পাওয়ায় নির্বাচন দ্বিতীয় দফায় গড়ায়।চীন-ভারতের শক্তিমত্তার খেলার ছায়ায় অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ জয়ী হলে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে নয়াদিল্লির প্রভাব বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, সলিহর সঙ্গে নয়াদিল্লির সম্পর্ক ভালো। অন্যদিকে প্রথম দফার নির্বাচনে এগিয়ে থাকা রাজধানী মালের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মুইজ্জু চীনপন্থি হিসেবে পরিচিত। সলিহকে হারাতে পারলে তিনি দেশ থেকে ভারতীয় সামরিক ঘাঁটি উচ্ছেদ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
প্রথম দফার নির্বাচনে মোহাম্মদ মুইজু ৪৬ শতাংশ ও সলিহ ৩৯ শতাংশ ভোট পান। তবে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে দু’জনের মধ্যে হাডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে। ভারত মহাসাগরের মাঝে কৌশলগত একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। এটি বিশ্বের ব্যস্ততম পূর্ব-পশ্চিম শিপিং লেনগুলোর একটি। ফলে ভূরাজনৈতিক হিসাবনিকাশে দিল্লি ও বেইজিং নিজ নিজ বলয় প্রতিষ্ঠা করতে চায় দেশটিতে।